Menu

Category: সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া

বাংলার নবজাগরণ বিষয়ে বিতর্ক এবং ইতালির নবজাগরণের সঙ্গে এর তফাৎ আলোচনা কর

বাংলার নবজাগরণ বিষয়ে বিতর্ক এবং ইতালির নবজাগরণের সঙ্গে এর তফাৎ আলোচনা কর উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে কেউ কেউ ১৫শ-১৬শ শতকের ইতালীয় নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। আবার বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি, সীমাবদ্ধতা, গুরুত্ব প্রভৃতি বিষয়েও পণ্ডিতদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। (১) ‘নবজাগরণ’ অভিধা নিয়ে বিতর্ক উনিশ শতকে বাংলার জাগরণকে ‘নবজাগরণ’ বলা যায় কি না তা নিয়ে …

বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি সম্বন্ধে আলোচনা কর

বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি সম্বন্ধে আলোচনা কর উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে কেউ কেউ ১৫শ-১৬শ শতকের ইতালীয় নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। আবার বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি, সীমাবদ্ধতা, গুরুত্ব প্রভৃতি বিষয়েও পণ্ডিতদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। (১) ‘নবজাগরণ’ অভিধা নিয়ে বিতর্ক উনিশ শতকে বাংলার জাগরণকে ‘নবজাগরণ’ বলা যায় কি না তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। যথা— (১.ক) …

শিক্ষাবিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখ

শিক্ষাবিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখ ভূমিকা ঊনবিংশ শতকে ভারতে বিরল যে-ক’জন ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ সংস্কারকের আবির্ভাব ঘটেছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি.)। সমাজ সচেতন ও মানবতাবাদী বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলার নবজাগরণের প্রতিমূর্তি। শিক্ষাসংস্কার, সমাজসংস্কারে তাঁর অবদান অবশ্য স্মর্তব্য। শিক্ষাসংস্কারে তাঁর অবদান দুটি পর্যায়ে আলোচিত হলো— (ক) শিক্ষাসংস্কার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের …

সমাজসংস্কারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখ

সমাজসংস্কারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখ ভূমিকা ঊনবিংশ শতকে ভারতে বিরল যে-ক’জন ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ সংস্কারকের আবির্ভাব ঘটেছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি.)। সমাজ সচেতন ও মানবতাবাদী বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলার নবজাগরণের প্রতিমূর্তি। শিক্ষাসংস্কার, সমাজসংস্কারে তাঁর অবদান অবশ্য স্মর্তব্য। সমাজসংস্কারে তাঁর অবদান আলোচিত হলো— (ক) বিধবাবিবাহ বিদ্যাসাগর হিন্দু বালাবিধবাদের জীবনের করুণ দশা দেখে বহুবিবাহ …

সমাজ ও শিক্ষাসংস্কারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান লেখ

সমাজ ও শিক্ষাসংস্কারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান লেখ ভূমিকা ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে যে সমাজসংস্কার আন্দোলনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল, সেক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭২-১৮৩৩) অবদান সর্বপ্রথম উল্লেখনীয়। রাজা রামমোহন রায় ছিলেন, ‘ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত’। ‘ব্রাহ্ম আন্দোলন’এর পুরোধা রাজা রামমোহন রায়ের অবদান সমাজ ও শিক্ষাসংস্কারেও পরিব্যপ্ত হয়েছিল। (ক) সমাজসংস্কারক রামমোহন হিন্দুসমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথাগুলি দূর করে সামাজিক …

স্যার সৈয়দ আহমদ খান ও আলিগড় আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা কর

স্যার সৈয়দ আহমদ খান ও আলিগড় আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা কর ভূমিকা ভারতীয় মুসলিমরা প্রথম থেকেই এদেশে ব্রিটিশ শাসন ও পাশ্চাত্য শিক্ষাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেনি। ফলে তাঁরা শিক্ষা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে। মুসলিমরা একদিকে যেমন সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে তেমনি নিজেদের সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। এভাবে শিক্ষাদীক্ষা, প্রভাব-প্রতিপত্তি, সরকারি …

সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ লেখ সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর

সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ লেখ সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর ভূমিকা অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতক জুড়ে ভারতীয় সমাজে প্রচলিত বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্যপ্রথা, জাতিভেদপ্রথা অস্পৃশ্যতা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি কুপ্রথা সমাজের অগ্রগতির পথে বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঊনবিংশ শতক থেকে শুরু করে বিংশ শতকের প্রথম কয়েকটি দশক পর্যন্ত বিভিন্ন সমাজ সংস্কারক এবং ধর্মীয় …

ধর্মসংস্কার ও জাতীয়তাবাদের প্রসারে স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ভূমিকা আলোচনা কর

ধর্মসংস্কার ও জাতীয়তাবাদের প্রসারে স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ভূমিকা আলোচনা কর সূচনা দেশপ্রেম ও আত্মবিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩-১৯০২ খ্রি.)। তাঁর জীবন ও বাণী বিদেশি শাসনে নির্যাতিত ভারতবাসীকে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করে নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলে। বিবেকানন্দ ধর্মকে সমাজের দুর্দশার সঙ্গে একাত্ম করে দেখেছিলেন। তাঁর মতে, “যে ধর্ম পিতৃমাতৃহীন অনাথের মুখে এক …

চিনের ৪ মে-র আন্দোলনের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা কর

চিনের ৪ মে-র আন্দোলনের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা কর ভূমিকা ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনের প্রতি আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চিন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর চিন কোনো সুবিচার পায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে এক আন্দোলন শুরু হয় যা, ৪ মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। কারণ এই আন্দোলনের …

বাংলার বাইরে সমাজসংস্কার আন্দোলনে প্রার্থনাসমাজ ও আর্যসমাজের ভূমিকা লেখ

বাংলার বাইরে সমাজসংস্কার আন্দোলনে প্রার্থনাসমাজ ও আর্যসমাজের ভূমিকা লেখ ব্রিটিশ শাসনকালে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বাংলার বাইরেও বিভিন্ন সমাজ সংস্কারক সংস্কার আন্দোলন করেন। বাংলার বাইরে একাজে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমন দুটি প্রতিষ্ঠান হলো—প্রার্থনাসমাজ এবং আর্যসমাজ। প্রার্থনাসমাজের ভূমিকা মহারাষ্ট্রের সমাজসংস্কারক আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ কেশবচন্দ্র সেনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রে প্রার্থনাসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে বিচারপতি মহাদেব …

error: Content is protected !!