Menu

ভাতে হাত ঢুকিয়ে দিতে সে স্বর্গ সুখ পায় ভাতের স্পর্শে।”—কে, কীভাবে এই অভিজ্ঞতা লাভ করে? উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য লেখো।

Last Update : August 15, 2023

“ভাতে হাত ঢুকিয়ে দিতে সে স্বর্গ সুখ পায় ভাতের স্পর্শে।”—কে, কীভাবে এই অভিজ্ঞতা লাভ করে? উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য লেখো।


অথবা, “ভাতে হাত ঢুকিয়ে দিতে সে স্বর্গ সুখ পায় ভাতের স্পর্শে।” কে, কীভাবে এই ভাত জোগাড় করেছিল? তার এই অনুভূতির কারণ ব্যাখ্যা করো।

প্রথম অংশ

মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ভাত’ গল্পে বর্ণিত ক্ষুধার্ত উৎসব অন্নসংস্থানের আশায় কলকাতার বড়ো বাড়িতে কাজ করতে যায়। সেখানে প্রতিদিন পাঁচ রকম চালে রান্না হয়, যা বাদা থেকে আসে।

আরো পড়ুন :  এ সংসারে সব কিছুই চলে বড়ো পিসিমার নিয়মে—বড়ো পিসিমা কে? গল্পে তার চরিত্রের কীরূপ পরিচয় পাওয়া যায়, তা লেখ।

বাদা অঞ্চলের বাসিন্দা উৎসব বড়ো বাড়ির বিপুল আড়ম্বরেও বিনা পরিশ্রমে ভাত পায় না। ‘ভাতের হুতাশে’  আড়াই মণ কাঠ কেটে ফেললে উৎসব দেখে বাড়ির কর্তা মারা যাওয়ায় বাসিনী সব ভাত অশৌচের সংস্কারবশত ফেলে দিতে যাচ্ছে। উৎসব সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয় কোনোভাবেই সেই ভাত সে ফেলে দিতে দেবে না। তাই বাসিনীর থেকে মোটা চালের ভাতের ডেকচি নিয়ে দূরে ফেলে আসবে বলে প্রথমে হনহনিয়ে হাঁটে তারপর ডেকচি নিয়ে দৌড়ে পালাতে চায়। বাসিনী তাকে বাধা দিতে এলে ক্ষুধার্ত উৎসব দাঁত বের করে কামটের মতো হিংস্র ভঙ্গি করে। তারপর স্টেশনে গিয়ে পরম তৃপ্তিতে ভাত খায় উৎসব নাইয়া।

আরো পড়ুন :  ‘ভাত' গল্প অবলম্বনে উৎসব নাইয়া, উচ্ছবের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

দ্বিতীয় অংশ

অভুক্ত উৎসব ভাতের ডেকচির মধ্যে হাত ঢুকিয়ে পরম তৃপ্তিতে শান্তি পায়। অনাহারী উৎসব তার ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য ভাত খেতে খেতে যেন জগতের শ্রেষ্ঠ সুখ পায়। চন্নুনীর মা-ও তাকে কখনও সেই সুখ দিতে পারে নি। তাই উৎসব ভাবতে থাকে তার সঙ্গে তার অভুক্ত পরিবারও যেন সেই ভাত খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই ভাতের স্পর্শ উৎসবের কাছে ‘স্বর্গসুখ’-এর সমান। বঞ্চিত, দরিদ্র, জীবন-সংগ্রামে ক্লান্ত উচ্ছবদের কাছে ‘ভাত’-ই স্বর্গসুখের তুল্য উপভোগ্য বস্তু।

আরো পড়ুন :  ‘উৎসব কৌটোটা চেয়ে এনেছিল’—কোন কৌটোর কথা বলা হয়েছে? কৌটোটা কেমন ছিল? সেই কৌটো থাকলে কী হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!